ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
কক্সবাজারে উখিয়ার বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি। মঙ্গলবার একুশে ফেব্রুয়ারী দুপুরে এ প্রতিনিধি দল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। দেড়টা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত অন্তত পঞ্চাশ জন নারী-পুরুষের কথা শুনেন জাতিসংঘের মানবধিকার বিষয় দূত ইয়াংঘি লি। পরিদর্শন কালে রোহিঙ্গা নাগরিকদের উপর বর্বরোচিত নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ, মানবধিকার লঙ্গন ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের বর্ণনা শুনে তিনি মর্মাহত হন। এসময় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, স্ব-দেশে ফেরত বিষয়ে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারকে চাপপ্রয়োগ সহ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘ কাজ করবে বলে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব বাকী বিবাহ, মিয়ানমারের মানবাদিকার বিষয়ক রিপোর্টার, উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) নুরুদ্দিন মো: শিবলী, আইএমও প্রতিনিধি সৈকত বিশ্বাস ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের বাংলাদেশস্থ কমিউনিকেশন এন্ড পার্টনারশিপ অফিসার নাজ্জিনা মোহসিন।
মিয়ানমারের খিয়াজী পাড়া গ্রামের আব্দুস ছবুরের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৪৫) বলেন, গত দুই মাস আগে দুই ছেলে দুই মেয়েকে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে এ দেশে চলে আসি। ওখানকার মিলিটারী আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। মিয়ানমারের শীলখালী গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রী দিলদার বেগম বলেন, গত দেড় মাস আগে স্বামী ও সন্তানকে মিলিটারি হত্যা করেন। কোনমতেই পালিয়ে আসি এখানে ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। কেয়ারীপাড়া গ্রামের হাজেরা বেগম বলেন আমার স্বামী অনেক দিন ধরে নিখোঁজ আছে। এখনো জানি না কোথায় আছেন,জীবিত না মৃত। মেীলভী জাফর আলম বলেন মিয়ানমার সরকার য়দি নাগরিকত্ব দিলে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। এ্খনো নতুন রোহিঙ্গা আসছে।
মিযানমারের পোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক চেযারম্যান আবুল ফয়েজ বলেন মিযানমারের সামরিক বাহিনীর এ পর্যন্ত অনেক নারী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিনি আরো বলেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে গণ ধর্ষণের শিকার ৪২ নারী ও গুলিবিদ্ধ ৩৬ পুরুষের নাম সম্বলিত একটি তালিকা ইয়াংঘি লি হাতে তুলে দেন ।
পাঠকের মতামত: